এডিশ মশা রোধে সিসিকের বিশেষ অভিযান
ভ্রাম্যমান আদালত, ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা
বাসা বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আশপাশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার আহবান জানিয়েছেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এডিশ মশা জমে থাকা পরিস্কার পানিতে জন্মায়। তাই বাড়ির খোলায় জায়গা, নারকেলের খোসা, ফুলের টব, বাসার ছাদ, পরিত্যক্ত ভবন কিংবা নির্মানাধীন ভবনে যেনো পানি জমে না থাকে সেজন্য নগরবাসির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
এসব স্থানে জমে থাকা পরিস্কার পানিতে এডিশ মশা সহজেই বংশবৃদ্ধি করতে পারে। ফলে ডেঙ্গুর মতো ভয়াবহ রোগে ছড়িয়ে পড়তে পারে নগরীতে। সিসিক মেয়র বলেন, এডিশ মশার উৎস অনুসন্ধান ও এডিশ মশার বংশবৃদ্ধি রোধ কল্পে সিসিকের বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২) দুপুরে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভার্থখলা এলাকায় এডিশ মশার লার্ভার উৎস অনুসন্ধান ও নিধনে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসা বাড়িতে এডিশ মশার লার্ভা পাওয়া যায়।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মতিউর রহমান খান এই অভিযান ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম, সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কীট ত্বথ্যবিদ মো. নজরুল ইসলাম।
অভিযানে নগরের দক্ষিণ সুরমা ভার্থখলা এলাকার কয়েছ এন্ড ব্রাদার্স, ধর স্যানেটারী, নাজমুল এন্ড ব্রাদার্স, মেসার্স খালেদ এন্ড ব্রাদাস ও একটি বাড়িতে এডিশ মশার লার্ভার উৎস পাওয়া যায়। এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়। জরিমানা করা হয় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।